খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে একাধিক কালভার্ট-সেতু ধসে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ফসলের গাছ ভেঙে ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি খেতে পানি জমে শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক অফিস ও ইমিগ্রেশন ভবনের সামনের চত্বরে পানি প্রবেশ করেছে। বন্দরের কাছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নতুন নির্মাণকাজে অপরিকল্পিতভাবে মাটি ও বালি ফেলা হচ্ছে, যার ফলে স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নাজিরপুর, তেমুনিয়া, শ্যামপুর, বিশ্বরোডসহ আশপাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো চরম ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাওড়া নদীর বিভিন্ন অংশে পানির প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে বালুভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল শেরপুরের নদীগুলোর পানির স্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ নতুন করে বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনায়। ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে এ তিন জেলার নিম্নাঞ্চলের পানি। তবে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার।